পুঁজিবাজার রিপোর্টঃ ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য লন্ডন রোড শো’কে ঘিরে পুঁজিবাজারের সর্বস্তরের বিনিয়োগকারির মধ্যে একটি স্বস্তির আবহ বিরাজ করছে। কারন ২০১০ সালের পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাভাবে আর্থিক, নৈতিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে পুঁজিবাজারকে নানা ভাবে সাপোর্ট দিলেও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোন রোডশো’তেই তিনি সরাসরি উপস্থিত থাকেননি। এবারই প্রথম পুঁজিবাজার সংক্রান্ত রোডশো’তে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি তুলে ধরবেন বিশ্ববাসীর কাছে। এর আগের কয়েকটি রোডশো’র ধারাবাহিক সফলতায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন তাদের পরবর্তী রোডশো’তে প্রধানমন্ত্রীকে উপস্থিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আগামি ৪ নভেম্বর, বৃহষ্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ সেন্টারের চার্চিল অডিটরিয়ামে রোডশো’র প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। ব্রিটেন এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সব পর্যায়ের ব্যবসায়ি ও বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। বিষয়টিকে ঘিরে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি স্টেকহোল্ডার ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, লিস্টেড কোম্পানি ও চেম্বার এসোসিয়েশন্সহ সবার মাঝে সাজসাজ রব পড়েছে। সবার ধারণা প্রধানমন্ত্রী নিজে যখন রোডশোতে নেমেছেন তখন আর পেছনে ফেরার কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার যাবে অনেক দূর।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে ঘিরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়াত উল ইসলাম শুরুতেই এই বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে বহু দুর যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই বাস্তবায়ন এবার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী লন্ডন রোডশোতে উপস্থিত থেকে।লন্ডনের পরে দ্বিতীয়দিনের অনুষ্ঠান হবে ৮ নভেম্বর, সোমবার ম্যানচেস্টারের সেন্ট্রাল কনভেনশন সেন্টারে। এদিনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Investor Summit: Bangladesh Capital Markets”
লন্ডন রোডশো থেকে যুক্তরাজ্য এবং তৎনিকটবর্তী ইউরোপিয় দেশগুলো থেকে বিশাল অংকের বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে বলে ধারণা করছেন অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগন। দু’দিনব্যপি এ রোডশোর আয়োজক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। পুরো অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় রয়েছেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) এবং বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সৌজন্যে দুই দিনের রোডশোটির সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
রোডশোর সফলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বাংলাদেশি পরিচালক এবং এক্সপো গ্রুপের ব্যবস্থাপণা পরিচালক আসাদ চৌধুরী এফসিএমএ পুঁজিবাজার ডটকমকে বলেন, শুধু পুঁজিবাজার নয়, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন। এক্ষেত্রে আমরা আপাতত পুঁজিবাজারকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারন এটি এখন আমাদের দেশের একটি গ্রোয়িং মার্কেট। মেগা প্রজেক্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগের এটিই একটি সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক খাত। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের পুঁজিবাজার এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। এটিকে সামনে নেয়ার অনেক সুযোগ আমাদের হাতে আছে। তিনি আরো বলেন, সিকিউরিটজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান যে ভিশন এবং মি্শন নিয়ে আগাচ্ছেন তাতে ডিএসইর ইনডেক্স দশ হাজার পয়েন্টে উন্নিত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। লেনদেন এখনও ছাড়ায়নি ৩ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বিশ্বাস লন্ডন রোডশোয়ের পরে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই ডিএসইর লেনদেন ৩ হাজার কোটি থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে চলে আসবে। এই বিশ্বাস রেখেই আমরা লন্ডন যাচ্ছি।
লন্ডন রোডশো