শনিবার, সেপ্টেম্বর 23, 2023

উচ্চ আদালতের অনুমোদন পেয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ইউপিজিডিসিএল) গত বছর তিন সাবসিডিয়ারি কোম্পানির সঙ্গে একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কাছে আবেদন করেছিল কোম্পানিটি। হাইকোর্ট সম্প্রতি একীভূতকরণের বিষয়টি অনুমোদন করে রায় দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

একীভূতকরণ স্কিম অনুসারে, তিন সাবসিডিয়ারি ইউনাইটেড জামালপুর পাওয়ার লিমিটেড, ইউনাইটেড আনোয়ারা পাওয়ার লিমিটেড ও ইউনাইটেড এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে একীভূত হবে ইউপিজিডিসিএল। তিন সাবসিডিয়ারিতে ইউপিজিডিসিএলের ৯৯ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে। বাকি ১ শতাংশ শেয়ার নগদ অর্থে কিনে নেবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি। একীভূতকরণ স্কিম অনুমোদনের বিষয়ে গত ৫ জুন রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট। রায়ের সার্টিফায়েড কপি ১৭ আগস্ট ইস্যু করা হয়েছে। হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়ার পর একীভূতকরণ প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে রয়েছে। শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়টি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ইউপিজিডিসিএলের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ টাকা ৩৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৫১ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে ইউপিজিডিসিএল। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৭ টাকা ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৩৮ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ১০ টাকা ২৪ পয়সা।

২০১৯-২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৪৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ইউপিজিডিসিএল। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ২৬ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১৪ টাকা ৬২ পয়সা। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১৩০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।

২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৫৭৯ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৪৮৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৭০। এর ৯০ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ইউপিজিডিসিএলের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২৩৩ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২৩৩ টাকা ৭০ পয়সা ও ২৫৫ টাকা

spot_img

অন্যান্য সংবাদ