বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর 21, 2023

ডিজিটাল ব্যাংকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইউনিক হোটেল

আমার ডিজি ব্যাংক পিএলসি’ নামে প্রস্তাবিত একটি ডিজিটাল ব্যাংকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রস্তাবিত ‘আমার ডিজি ব্যাংক পিএলসি’ নামের ডিজিটাল ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। এখানে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার হবে, যা প্রস্তাবিত ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানিটি এ ব্যাংকের ১০ টাকা মূল্যের মোট ১ কোটি ২৫ লাখ শেয়ারের মালিকানায় থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নেবে কোম্পানিটি।

উল্লেখ্য, দেশের প্রচলিত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি আর্থিক সেবা দিতে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের কাছ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় এখন পর্যন্ত আটটি ব্যাংক, একটি বিমা কোম্পানি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের এক কোম্পানি এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের এ কোম্পানিটি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) লিমিটেডসহ মোট ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সমন্বয়ে একটি কনসোর্টিয়াম বা জোট গঠন হতে যাচ্ছে। এ জোটের মাধ্যমে তারা ‘?ডিজি ১০ ব্যাংক পিএলসি’ নামের একটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে বিনিয়োগ করবে।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৫৮১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ২৯ কোটি ৪৪ লাখ। এর মধ্যে ৪৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৬৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ২৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ৭৩ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯৪ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৪ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৯টি শেয়ার মোট ৮৩৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৫৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

spot_img

অন্যান্য সংবাদ