কয়েক দিনের দরপতনে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দরের শেয়ার সংখ্যা ফের বেড়েছে। বুধবার এ সংখ্যা ২১৯টিতে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ৩৯২টি। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ শেয়ার এখন ফ্লোর প্রাইসে। সাম্প্রতিক সময়ের শেয়ারদর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এক মাসে এ সংখ্যা বেড়েছে ৩০টি। গত ৬ জুলাই ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ার সংখ্যা ১৮৯টিতে নেমে এসেছিল।
ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, জুনে শেয়ারদর বৃদ্ধির ধারা ছিল। ভালো কিছু শেয়ারও ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে বের হয়ে আসছিল। এতে আশাবাদী হয়ে কেউ কেউ বিনিয়োগও শুরু করেন। এখন তারা আবার লোকসানে পড়েছেন এবং বিনিয়োগ আটকে গেছে।
বুধবার চার শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ছেড়েছে। এগুলো হলো– প্রগ্রেসিভ লাইফ, ন্যাশনাল টিউবস, একমি ল্যাবরেটরিজ ও স্কয়ার ফার্মা। বিপরীতে পাঁচ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড দর হারিয়ে ফের ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে। এগুলো হলো– বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, সুহৃদ, হামিদ ফেব্রিকস, সোনারগাঁ টেক্সটাইল, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স এবং এনসিসি প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বীমা ছাড়া বড় সব খাতেই ফ্লোর প্রাইসে থাকা শেয়ার তুলনামূলক বেশি। ব্যাংক খাতের ৩৫ কোম্পানির মধ্যে ২৯টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩ কোম্পানির মধ্যে ২১টি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ২৩ কোম্পানির মধ্যে ১৭টি এবং বস্ত্র খাতের ৫৮ শেয়ারের মধ্যে ৪৩টি ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে বীমা খাতের ৫৭ শেয়ারের মধ্যে মাত্র ৭টি ফ্লোর প্রাইসে। ৩৬টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৪টিই ফ্লোর প্রাইসে। সাত কোম্পানি নিয়ে গড়া সিমেন্ট খাতের ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ার মাত্র দুটি। তথ্য-প্রযুক্তি খাতের ১১টির মধ্যে দুটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ছয়টির মধ্যে একটি এবং কাগজ ও ছাপাখানা খাতের ছয়টির মধ্যে মাত্র একটি ফ্লোর প্রাইসে।
ফ্লোর প্রাইসে শেয়ার বাড়তে থাকায় সার্বিক শেয়ার লেনদেনও কমছে। বুধবার ডিএসইতে ৬৩৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। জুলাই মাসে কোনো কোনো দিন হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।
সার্বিক হিসাবে বুধবার ডিএসইতে ৭৮ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৮৭টির দর কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল ১৬৪টির দর। ক্রেতার অভাবে ৬৩টির কেনাবেচা হয়নি। একক কোম্পানি হিসেবে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল সিভিও পেট্রেকেমিক্যাল।