শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নিয়ে অনলাইন পোর্টাল ১৯ জুলাই ‘নিলামে উঠছে এমারাল্ড অয়েল কোন পথে যাবে বিনিয়োগকারীরা!’ শীর্ষক সংবাদটি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
পোর্টালটির প্রতিবেদক তথ্যের যাচাই বাছাই ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করেন। যা কোম্পানির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। কোনো প্রতিষ্ঠান কোম্পানির কোনো সম্পত্তি নিলামে তুলছে না। এমন সংবাদ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
প্রতিবেদক একটি কুচক্রীমহলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলেই সংবাদটি প্রকাশ করেন। সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এমারাল্ড কর্তৃপক্ষ।
এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, বেসিক ব্যাংক ও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ৫ বছর আগে দেশ ত্যাগ করেছে কোম্পানিটির সাবেক পরিচালনা পর্যদ। দীর্ঘ ৫বছর যাবত কোম্পানিটির উৎপাদন ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর কোম্পানির সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের কথা বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মিনোরি বাংলাদেশকে ২০২১ সালে এর দায়িত্ব তুলে দেয়।
পাশাপাশি সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান করে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় কোম্পানিটিতে। এর ধারাবাহিকতায় মিনোরি বাংলাদেশ দায়িত্ব পাওয়ার পর এমারাল্ড অয়েলকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনে।
এছাড়া বিগত ৬ বছরের এজিএম সম্পন্ন করে। সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের মাঝে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করে। এছাড়াও অন্তবর্তী ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়েছে।
এমারাল্ডের দায়িত্ব পাওয়ার পর নতুন বোর্ড বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে। এসব প্রতিষ্ঠানে ঋণের সুদ মওকুফ চেয়ে আসল টাকা পরিশোধের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করে। এতে একটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্মতি জ্ঞাপন করে।
বেসিক ব্যাংকেও ঋণের সুদ মওকুফ চেয়ে চিঠি দেয় এমারাল্ড অয়েল। সে কপিও কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে। অথচ যাচাই বাছাই ছাড়াই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এদিকে সংবাদের একটি অংশে বলা হয়েছে, এমারাল্ড অয়েলের ফ্যাক্টরিতে ৭০ জন কর্মচারী ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে, এমারাল্ডের ফ্যাক্টরিতে স্থায়ী ১০৫ জন স্থায়ী ও ৩০০ জন অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছে। এ ছাড়া ১৬-১৮ ঘণ্টা চলমান থাকে।
সংবাদের একটি অংশে বলা হয়েছে, গাজীপুর থেকে ধানের কুঁড়া সংগ্রহ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে গাজীপুর থেকে কোনো ধানের কুড়া সংগ্রহ করা হয় না। কোম্পানির এনলিস্টেড এমন কোনো পার্টি নেই।
সংবাদের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, ভারতে স্পন্দন তেল দেওয়া হয়। আসলে ভারতে কোনো পার্টির কাছে কোম্পানি তেল বিক্রি করে না।
পাশাপাশি ব্যাংক এশিয়ার কাছে কোম্পানির জমি বন্ধক থাকার বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয় এবং ব্যাংক ঋণ শোধের ব্যাপারে মিনোরি বাংলাদেশ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এছাড়া বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে কয়েকটি চিঠি চালাচালি হয় এমারাল্ড কর্তৃপক্ষের। এছাড়া বেসিক ব্যাংকের ঋণের বিষয়ে ব্যাংকটির সঙ্গে এমারাল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ ঋণ পুনঃতফসিল করার জন্য আলোচনায় বসে। এ উদ্যোগে সহযোগিতা করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু একটি অনলাইন পোর্টাল এসব তথ্য না জেনেই মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে।
এদিকে ঋণ পরিশোধে বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। বেসিক ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। সাবেক পরিচালনা পর্যদ ঋণের টাকা পরিশোধ না করে দেশ ত্যাগ করেছেন। এমন অবস্থায় জাপানি বিনিয়োগকারী মিনোরী বাংলাদেশ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা করছে। এছাড়াও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণের টাকা পরিশোধ করেছে মিনোরি বাংলাদেশ।
এমারাল্ড অয়েলের রাইস ব্র্যান তেল জাপানে রপ্তানির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে মিনোরি বাংলাদেশ। কোম্পানির এমন উন্নতি সাধনে হিংসা-বশীভূত হয়ে একটি মহল সাংবাদিকদের ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে এমন হীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
এই ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এমারাল্ড কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করলে শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। – বিজ্ঞপ্তি