শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খান ব্রাদার্সের শেয়ার বিনা কারণে আকাশচুম্বী হচ্ছে। যেখানে বহু মৌলভিত্তির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের অচলায়তনে অবিক্রীত অবস্থায় গড়াগড়ি খাচ্ছে, সেখানে লোকসানী খান ব্রাদার্সের শেয়ার দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণের বেশি দর হাঁকিয়েছে।
খারাপ পারফরমেন্সের লোকসানি কোম্পানিটির শেয়ার কেবল কারসাজির কারণেই ধারাবহিকভাবে বাড়ছে। সর্বশেষ সোমবারও শেয়ারটি ৯.৯৫ শতাংশ বেড়ে ২৩ টাকা ২০ পয়সায় বিক্রেতাশুন্য থেকেছে। এর মাধ্যমে দুর্বল কোম্পানিটির শেয়ার ধারাবাহিকভাবে ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ শেয়ারে পরিণত হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল কোম্পানিটির দর ১০ টাকার নিচে ছিল। যা সর্বশেষ ২৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। দুই মাসের ব্যবধানের শেয়ারটির দর বেড়েছে ১২৩ শতাংশ।
শেয়ারটির এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের কাছে দুই বার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেছে।
জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেয়ারটির অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ তাদের জানা নেই। তারপরও শেয়ারটির দর অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে।
এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, খান ব্রাদার্সসহ যে সকল জাঙ্ক শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই কোম্পানিগুলোর বিএসইসির নজরে এসেছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম আর্থিক প্রতিবেদনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাড়ছে কি না তা তদন্ত করার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা খান ব্রাদার্সসহ অন্য জাঙ্ক শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। শেয়ারটির সাম্প্রতিককালের লেনদেন ও দর বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার ওপরও নজর রাখছে কমিশন। কারসাজি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর এই খবরেই কোম্পানিটির শেয়ারদর আজ কিছুটা কমেছে। এর আগে দিনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে সার্কিট ব্রেকারের প্রায় সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে। তবে দিন শেষে শেয়ারদর ২০ পয়সা বা ০.৮৬ শতাংশ কমে ২৩ টাকায় ক্লোজ হয়েছে। এরআগে টানা ছয় কাযদিবস কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছিল।