মঙ্গলবার, মার্চ 21, 2023

হিসেবে নয়-ছয় করে শেয়ারবাজারে আসছে চার্টার্ড লাইফ ইন্সুরেন্স

শাফিউন ইবনে শাহীন: দূর্বল, অস্বচ্ছ ও গড়মিলে ভরা আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া চার্টার্ড ইন্সুরেন্স বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুকি তৈরি করেছে। রবিবার থেকে চাঁদা সংগ্রহ শুরু করা বীমা খাতের কোম্পানিটির খরচের তুলনায় আয় কম। ইন্সুরেন্স কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রসপেক্টাস বিশ্লেষণ করেছে পুঁজিবাজার ডটকমের এ প্রতিবেদক। তাতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

এছাড়া কর্মীদের বেতন, অফিস ভাড়ার এডভান্স থেকে শুরু করে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষন ব্যয়ে নানা গড়মিল রয়েছে। আইনের ব্যত্যয় হয়েছে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে। আবার পলিসি রিনিউ অনুপাত, গাড়ির বিলাসিতায় প্রশ্নবিদ্ধ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনার মানও। এত কিছুর পরেও রবিবার থেকে টাকা তুলতে শুরু করেছে শেয়ারবাজারের ইতিহাসের সর্বনিম্ম মুনাফা নিয়ে আসা এ বীমা কোম্পানিটি। এতে বিশেষজ্ঞরা কোম্পানিটির মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছেন তেমনি একইভাবে পেশাগত সততা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে অডিটর ও ইস্যু ম্যানেজারদের যোগ্যতা নিয়েও তুলেছেন আঙ্গুল।

এসব বিষয়ে পুঁজিবাজার ডটকমের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ডএক্সচেঞ্জ কমিশনের বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইতুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। রেজাউল করিম পুঁজিবাজার ডটকমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, চার্টার্ড ইন্সুরেন্স খরচ বেশী দেখিয়েছে। সে তুলনায় আয় কম। কোম্পানিটি খরচের তুলনায় আয় কম দেখানোয় ঝুকি দেখা দিয়েছে। তাতে যদি আনডার সাবস্ক্রাইব হয়ে যায় তবে চুড়ান্তভাবে তালিকাভুক্তির সুযোগ পাবে না। কীভাবে এমন একটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বিএসইসির এই মুখপাত্র বলেন বিষয়টির দায় প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইডরার(IDRA)। তবে বিএসইসির কোনো দায় আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন একটি কোম্পানির সব কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার মতো লোকবল বিএসইসির নেই। এজন্য পৃথক ভাবে কোম্পানিরও দায় রয়েছে। এছাড়া অডিট ফার্ম ও ইস্যু ম্যানেজারও দায়ী বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন বিএসইসি নন কমপ্লায়েন্স কোম্পানিকে অনুমোদন দেয় না। রেজাউল করিম আরো বলেন,বীমা কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএসের সঠিক হিসাব করা বেশ কঠিন। সে কারণে ইপিএসর হিসেবে একটু এদিক সেদিক হতে পারে।


বিশ্লেষণে দেখা গেছে কোম্পানিটি কর্মীদের বেতনের ভুতূড়ে হিসেব দিয়েছে। প্রস্পেক্টাসের ৩০৬ নং পাতা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২০ সালে ৩৬ হাজার টাকার নিচে বেতন পাওয়া কর্মী ছিলেন ২৫ জন। ওই বছর তাদের মোট বেতন দেয়া হয় ১ কোটি ১৫ লাখ ২ হাজার টাকা। প্রস্পেক্টাসে এই ৩৬ হাজার টাকা বাৎসরিক উল্লেখ থাকলেও কোম্পানির সিএফও মঞ্জুর আহমেদ একে মাসিক বেতন বলে দাবি করেন। তার দাবী অনুযায়ীও যদি হিসেব কষা হয়, তবে প্রতিমাসে কর্মী প্রতি তাদের বেতন আসে ৩৮ হাজার ৩৪০ টাকা। যা উল্লেখিত ৩৬ হাজার টাকার চাইতে ২ হাজার ৩৪০ টাকা বেশি। অবাস্তব হলেও হিসেব মেলানোর স্বার্থে যদি সবার সর্বোচ্চ বেতন সমানও ধরা হয় তবুও কোম্পানিটি এখানে অতিরিক্ত খরচ করেছে ৭ লাখ টাকার বেশি।


অবশ্য কোম্পানিটি এরচেয়েও অদ্ভুত খরচ করেছে পরের বছর। ২০২১ সালে বেতনের এই স্কেলেই নতুন করে আরও ১৬ জন নিয়োগ পায় কোম্পানিটিতে। তখন কোম্পানির মোট কর্মী সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১ জনে। বাড়তি এই ১৬ কর্মীর প্রতিজনের পেছনে ৩৬ হাজারের বদলে কোম্পানি খরচ করে প্রতিমাসে প্রায় ৪৯ হাজার টাকা।

অর্থ্যাৎ বাড়তি খরচ হয়েছে প্রতিমাসে ১৩ হাজার টাকা করে। সর্বোচ্চ খরচ ৩৬ হাজার করে ধরেও ৪১
জনের জন্য বেতন আসার কথা ১ কোটি ৭৭ লাখ ১২ হাজার টাকা। অথচ ২১’সালে কোম্পানিটি বেতন পরিশোধ করেছে ২ কোটি ৯ লাখ ৩ হাজার ৪০০ টাকা। অর্থ্যাৎ কোম্পানি এইখাতে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

হিসেবের এই গড়মিলের ব্যাপারে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মনজুর আহমেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এই প্রতিবেদককে প্রথমে এই বিষয়টিকে ছাপার ভুল বলে দাবী করেন। কোম্পানির ২০২০ সালের রিপোর্টেও একই সংখ্যা রয়েছে উল্লেখ করলে পরবর্তীতে তিনি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

অফিস ভাড়ার অগ্রিম খাতে সন্দেহজনক অর্থ ব্যয় করেছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এই অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয়ের যেন হদিস না পাওয়া যায় তাই এবার কোম্পানিটি অগ্রিমের কোন বর্ননাই আর্থিক বিবরনীতে দেয়নি। অথচ এর আগে কোন অফিসের জন্য কত এডভান্স দেয়া হয়েছে তা প্রতিবছরের আর্থিক বিবরনীতে উল্লেখ করে এসেছে কোম্পানিটি। এবারই কোন বিস্তারিত না দিয়ে শুধু ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪০ টাকার অগ্রিম দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


তবে কোম্পানির লিজ চুক্তির তথ্য ঘাটতে গিয়ে প্রসপেক্টাসের ৯৯ পাতায় ২০২১ অর্থবছরে নতুন করে ২৭টি অফিস ভাড়া তথ্য পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায় শুধু ঢাকা এক্সটেনশন অফিসের জন্য দেয়া ৫ লাখ টাকা অগ্রিমের কথা উল্লেখ রয়েছে। বাকি ৪৮ লাখের হিসেব না মেলায় প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এগুলো একেক সময় একেক চুক্তিতে নেওয়া হয়েছে। কোনটা ভাড়ার ৩ মাস, কোনটা ৬ মাস অগ্রিম দিয়ে নেয়া হয়েছে। তখন তাকে ৩ বা ৬ মাস কোনটাতেই এতো পরিমান অগ্রিম আসে না, বরং নতুন নেয়া অফিসকে গড়ে ১২ দিয়ে গুন করলে এই অংকটি আসে। যিনি হিসেবে এই সংখ্যাটি বসিয়েছেন তিনি হিসেব মেলানোর জন্য গড়ে ১২ মাস দিয়ে গুন করে দিয়েছেন বলে জানালে তিনি দাবী করেন তাদের এই অংকই ঠিক আছে। এগুলো ইস্যু ম্যানেজার, অডিটররা যাচাই করেই সাক্ষর করেছেন।

অডিটর বা ইস্যু ম্যানেজারের চোখ এড়িয়েও বেতনের অংকে গড়মিল হওয়ার কথা জানালে তিনি বলেন, এগুলো তো মানুষের করা হিসেব। এক-দুইটি ভুল থাকতেই পারে। কোম্পানির স্বার্থে প্রতিবেদক যেন এসব এড়িয়ে যান সেই অনুরোধও করেন তিনি।

বীমা খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব সঠিকভাবে পরিপালন না হওয়ায় অফিস অগ্রিম খাতে এমন সন্দেহজনক অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এটি কোম্পানির মুখ্য নির্বাহীকর্মকর্তার কর্মদক্ষতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। অস্বাভাবিক অগ্রিম দেয়ার কারণে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় অনুমোদিত সীমার চেয়েও বেশি হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির নগদ-প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং গ্রাহকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে। সেই সঙ্গে আর্থিক অনিয়মের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বীমাখাত বিশেষজ্ঞরা।


বেতনের হিসেবে গড়মিল বা সন্দেহজনক অফিস ভাড়ার অগ্রিমই নয়, ব্যবস্থাপনা খাতে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ খরচ করে আইনের ব্যত্যয়ও ঘটিয়েছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। একটি জীবন বিমা কোম্পানি ব্যবস্থাপনা খাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করবে তা আইন দ্বারা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, সর্বশেষ সমাপ্ত বছর (২০২১ সালে) চার্টার্ড লাইফের ব্যবস্থাপনা খাতে সর্বোচ্চ ব্যয়ের সীমা নির্ধারিত হয় ২০ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৫৩৬ টাকা। তবে ওই বছর কোম্পানিটি ব্যয় করেছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ ২ হাজার ৮৬১ টাকা। অর্থাৎ আইন লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠানটি ২ কোটি ৮০ লাখ ৮২ হাজার ৩২৫ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। শুধু সর্বশেষ বছরেই নয়, এর আগের বছরগুলোতেও এই জীবন বিমা কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি আইন লঙ্ঘন করে ব্যবস্থাপনা খাতে অতিরিক্ত ব্যয় করে ৪ কোটি ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮১ টাকা। বছরটিতে ব্যবস্থাপনা খাতে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারিত হয় ১০ কোটি ৩৩ লাখ ২৬৬ টাকা। তবে কোম্পানিটি ব্যয় করে ১৪ কোটি ৬১ লাখ৬৯ হাজার ৯৪৭ টাকা।

এর আগের বছর ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করে ১১ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৩৮৬ টাকা। তবে আইন অনুযায়ী, ওই বছর সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারিত হয় ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৯ টাকা। এ হিসেবে ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে অতিরিক্ত ব্যয় করে ৪ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬০৭ টাকা। এভাবে বছরের পর বছর আইন লঙ্ঘন করে ব্যবস্থাপনা খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করায় কোম্পানিটির পলিসিহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ আইনি সীমার অতিরিক্ত যে টাকা ব্যয় করা হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই প্রতিষ্ঠানের পলিসিহোল্ডারদের প্রাপ্য। বাকি ১০ শতাংশের ভাগিদার শেয়ারহোল্ডাররা।

ব্যবস্থাপনা খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানি সেক্রেটারি মিজানুর রহমান এফসিএস বলেন, এর অনেক কারণ রয়েছে। বীমাশিল্পে নানা ম্যালপ্র্যাকটিস রয়েছে। তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না চাইলেও অনেক খরচ করতে হয় আমাদের। তবে আমরা ব্যয় আইনি সীমার মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা অতিরিক্ত ব্যয়ের হার কমিয়েও এনেছি। আশা করি সামনের বছরগুলোতে এটি ঠিক হয়ে যাবে।


মাত্রাতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের পাশাপাশি প্রতি বছর কোম্পানিটিতে অস্বাভাবিক হারে বীমা পলিসি তামাদি (বন্ধ) হয়ে যাচ্ছে। বীমা গ্রাহকদের সঠিক সেবা না দেয়ার কারণে পলিসি অস্বাভাবিক হারে তামাদি হচ্ছে বলে মনে করছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

প্রতিষ্ঠানটির পলিসির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০ সালে কোম্পানিটি নতুন পলিসি ইস্যু করেছে ১১ হাজার ৪৬৯টি। ২০২১ সালে এসে প্রতিষ্ঠানটিতে আগের বছরের (২০২০) বিমা পলিসি রিনিউ হয়েছে ৪ হাজার ৩১৪টি। সে হিসেবে তামাদি হয়েছে ৭ হাজার ১৫৫টি। এক আগের বছর ২০২০ সালে নতুন পলিসি ইস্যু হয় ৫ হাজার ৫০৬টি। পরের বছর পলিসি তামাদি হয় ১ হাজার ৮৬৪টি।

কোম্পানিটিতে নতুন পলিসি ইস্যুর পরের বছরই তামাদি হয়ে যাওয়ার হার আশঙ্কাজনক। ২০২১ সালে এই তামাদির হার দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২০ সালে বিক্রি করা বিমা পলিসির ৬২ শতাংশের নবায়ন প্রিমিয়াম ২০২১ সালে আদায় করতে পারেনি কোম্পানিটি। এর আগে ২০১৯ সালে বিক্রি করা পলিসির ৩৪ শতাংশ ২০২০ সালে তামাদি হয়। ২০১৯ সালে তামাদি হয় ৬১ শতাংশ।
নতুন পলিসি ইস্যুর পরের বছরই কোম্পানিটির তামাদির হার সম্পর্কে একাধিক জীবন বিমা কোম্পানির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, নতুন পলিসি ইস্যুর পরের বছরই এত বড় অংশের পলিসি তামাদি হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। প্রতিবছর ৪০-৫০ শতাংশের ওপর পলিসি তামাদির এ হার আশঙ্কাজনক।

তারা আরও বলেন, দ্বিতীয় বছরই যে হারে পলিসি তামাদি হচ্ছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে কোম্পানি প্রথম বছর প্রিমিয়াম আয় যা দেখাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তা সঠিক কি না। অনেক সময় কোম্পানি থেকে কমিশনসহ বিভিন্ন খাতের খরচ সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রথম বছর প্রিমিয়াম আয় বাড়িয়ে দেখানো হয়। চার্টার্ড লাইফে তেমন কিছু ঘটছে কি না তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত।

পলিসি তামাদি হয়ে যাওয়ার বিষয়ে চার্টার্ড লাইফের কোম্পানি সেক্রেটারি মিজানুর রহমান এফসিএস বলেন, আমরা কখনোই চাই না আমাদের কোন পলিসি তামাদি হোক। তবে নানা পারিপার্শ্বিক কারনে পলিসি তামাদি হয়ে যাচ্ছে। কখনো গ্রাহকদের অসচেতনায় আবার কখনো এজেন্টদের অসততায় তামাদির এ হার বৃদ্ধি পায়। শুধু আমরা না, বীমা খাতের আরও অনেক কোম্পানিই এ সমস্যায় ভুগছে। এ সমস্যা রোধে আমরা এখন প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছি। আশা করি সামনের বছরে এখানে উন্নতি হবে আমাদের।

spot_img

অন্যান্য সংবাদ