পুঁজিবাজার রিপোর্ট: শেয়ারদর কমার সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে কোনো কোম্পানির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কমতে পারবে, এতদিন যা ছিল ২ শতাংশ।
আজ বুধবার (২০ এপ্রিল)বিএসইসি’র চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়াতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি আদেশে এ তথ্য জানা যায়। এই সিদ্ধান্ত আগামিকাল থেকেই কার্যকর করতে বলা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা ও বাজারের উন্নতির জন্য এ নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
এই আদেশের কারণে কোনো কোম্পানির শেয়ারদর যদি এক দিন ১০ শতাংশ বা আশপাশে বেড়ে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়, তাহলে সেই পরিমাণ দর কমতে এখন দ্বিগুন সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, অব্যাহত দরপতনের প্রেক্ষিতে গত ৮ মার্চ সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিএসইসি। তখনই বলা হয়েছিল উদ্ভুত পরিস্থিতির কারনে ২ শতাংশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২ শতাংশের সীমা তুলে নেয়া হবে।
তারই ধারাবাহিকতায় দর কমার নতুন সীমা ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আমরা যখন ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছিলাম তখনই বলেছিলাম এটি (২ শতাংশ) দীর্ঘমেয়াদি হবে না। তাই বাজার পরিস্থিতি উন্নতির সাথে সাথে সার্কিট ব্রেকারেও আজকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে একে ১০ শতাংশে উন্নিত করব আমরা।
এর আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পতনের ২ শতাংশ সীমা বেঁধে দিয়েছিল কমিশন। ওই বছরে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া কোম্পানিগুলোর উপর এই সীমা আরোপ করা হয়।
দর পতনের ক্ষেত্রে ২% এর নতুন নির্দেশনার আগে ২০০ টাকার মধ্যে থাকা সিকিউরিটিজের উত্থান-পতনের সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ১০ শতাংশ ছিল। অর্থাৎ যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ টাকার মধ্যে, সেসব শেয়ার বা ইউনিটের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।
সার্কিট ব্রেকারের অন্য নিয়মগুলো – ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা সিকিউরিটিজের সার্কিট ব্রেকার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ ও ৫০০০ টাকার ওপরে সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।