পুঁজিবাজার রিপোর্টঃ বাংলা বর্ষের শেষ দিন যেন চৈত্রের খরা কাটিয়ে এক পশলা বৃষ্টি। গত কয়েকদিনের টানা পতনে দামের সাথে সাথে লেনদেনেও খরা চলছিল। গতকাল যেন সেই খরাটা সামান্যই কাটলো। অবশ্য বিশ্লেষকদের মতে এই বৃষ্টিতে মাটি তো ভেজে তবে তৃষ্ণা মেটে না প্রকৃতির। কেননা, একদিকে সবগুলো সূচক বাড়লেও অন্যদিকে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। লেনদেনও আগেরদিনের কাছাকাছি।
তাই এতে উচ্ছ্বসিত নন বিনিয়োগকারীরা, কারণ পুঁজিবাজারে হঠাৎ আলোর ঝলকানি চান না তারা। তাদের প্রত্যাশা, বাজারের ধারাবাহিক স্থিতিশীল পরিবেশ। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা, নতুন বছরে তারা একটি স্থিতিশীল পরিবেশ পাবেন।
নতুন বছরে পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, চলতি বছর বাজার নিয়ে আরও কাজ করা হবে। এতে সম্প্রসারিত হবে পুঁজিবাজার। বাড়বে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। এতে বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গত বছর (বাংলা ১৪২৭) এই সময় থেকেই বাজার পরিস্থিতি ভালো হতে থাকে। শেয়ারবাজারে দেখা যায় সূচকের উর্ধ্বগতি। মোটামুটি সবাই লোকসান থেকে বের হয়ে এসে কিছুটা হলেও মুনাফা করতে পেরেছেন। এই বিনিয়োগকারীরা আশা করেন, গত বছর বাজারে যে পরিস্থিতি ছিল, এ বছরও যদি তেমন হয় তাহলে হারানো আস্থা অনেকটাই ফিরে আসবে সবার।
বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী বিনিয়োগকারী নূরুল আহমেদ রাকিব বলেন, দেশের বাইরে থাকলেও পুঁজিবাজারে (দেশের) আমার বিনিয়োগ রয়েছে। আমার ছোট ভাই এ বিও অ্যাকাউন্টের দেখভাল করেন। পুঁজিবাজার ভালো হবে, এমন আশার কথা শোনার পর গত বছর নতুন করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করি। কিন্তু বছর শেষে দেখছি, পোর্টফলিওর অবস্থা নাজুক। লাভের আশায় বিনিয়োগ করে উল্টো লোকসান হয়েছে। আশা করছি, নতুন বছরে লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখব। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে দেখব একটি স্থিতিশীল পরিবেশ।
এদিকে গতকাল বছরের শেষ দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বাড়তে দেখা গেছে। দিন শেষে সূচকের অবস্থান হয় ৬ হাজার ৫৮৪ পয়েন্ট। তবে দর কমে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের। লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বাড়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। পক্ষান্তরে ১৮৫টির দর কমে এবং ৬৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল।