পুঁজিবাজার রিপোর্টঃ মাসের প্রথমদিন বাজার শুরু হয়েছিল উত্থান দিয়ে। মাসের এক-তৃতীয়াংশ সময় পেরিয়ে ৮ কার্যদিবসেও সেই একই উত্থানের চিত্র ধরে রেখেছে বাজার। গত ৮ কার্যদিবসের ৭ দিনই বেড়েছে বাজার। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন স্তিমিত হয়ে আসছে উত্থানের গতি। টানা ৩ দিনের উত্থানে প্রতিদিনই সূচক বাড়ছে বটে, তবে যা বাড়ছে তা আগের দিনের আধাআধি।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের দুই মিনিটের মাথায় সূচকটি চার পয়েন্ট কমে। অবশ্য পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক এবং পরের ২৫ মিনিট টানা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে ১০টা ২৮ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে দিনের লেনদেন শেষে সূচকের বড় উত্থান হবে এমন আশা করছিলেন যে বিনিয়োগকারীরা, দিনের লেনদেন শেষে তাদের আশা পূরণ হয়নি। কারণ প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই একের পর এক বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। এতে আবারও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে মূল্যসূচক। তবে শেষ আধঘণ্টায় কিছু প্রতিষ্ঠানের পতনের মাত্রা কমায় প্রধান সূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে নেমে গেছে।
গতকাল এ মাসের সর্বনিম্ম লেনদেন হলেও আজ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৩২ টাকা। যেখানে আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৫০ কোটি ৮১ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১০৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৮০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৩টির। আর ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।