সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০২৪

বিনিয়োগকারীরা হারালো আরো ১২ হাজার কোটি টাকা

সংবাদটির বিভাগ

হাসিনা সরকারের আমলে পতনে নিমজ্জিত থাকা শেয়ারবাজারে গতি ফিরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইস) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। বাজারকে উত্থানে ফিরাতে নতুন চেয়ারম্যান দফায় দফায় বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গ্রুপ কোম্পানিগুলোর সাথেও আলোচনা করছে। তবে এতেও স্বস্তি ফিরছে না শেয়ারবাজারে। সর্বশেষ বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা হারালো আরো ১২ হাজার কোটি টাকা।

সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে বিদায়ী (২০ থেকে ২৪ অক্টোবর) সপ্তাহের লেনদেন। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি মূলধন হারিয়েছে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচক কমলেও টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে শেয়ারবাজারে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৯ হাজার ১১৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা টাকা।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার ২৯৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৭২ কোটি ২ লাখ টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪৩.৩৮ পয়েন্ট বা ২.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১৪ পয়েন্টে।

অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫১.২২ পয়েন্ট বা ২.৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৭৯ পয়েন্টে।

ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩০.১২ পয়েন্ট বা ২.৫৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৪ পয়েন্টে

ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৬১.৬৬ পয়েন্ট বা ৫.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, দর কমেছে ৩০৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।

আর লেনদেন হয়নি ১৭টির।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫১৮.৯০ পয়েন্ট বা ৩.৫০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩০২ পয়েন্টে।

সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ৩৬৬.৮৭ পয়েন্ট বা ৩.০৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে।

সিএসসিএক্স ৩০৬.৮৬ পয়েন্ট বা ৩.৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭০৫ পয়েন্টে।

সিএসই-৫০ সূচক ২৬.৪০ পয়েন্ট বা ২.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০২ পয়েন্টে।

সিএসআই সূচক ৩৪.০৫ পয়েন্ট বা ৩.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯২৬ পয়েন্টে।

এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১৭৬.৩৩ পয়েন্ট বা ৭.১৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ২৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ২০৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ৯৯৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে কোটি ৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, দর কমেছে ২৩৭টির।

অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

এ সম্পর্কিত আরও