শাফিউন ইবনে শাহীনঃ যতই ঘনিয়ে আসছে ব্যাংক খাতের লভ্যাংশ ঘোষণার সময় ততই এই খাতের শেয়ার নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগকারিদের। পুঁজিবাজারে টানা ৪ মাসের সংশোধনের পরে বাজার যখন ঘুরে দাড়াচ্ছে তখন সেই পালে হাওয়া দিচ্ছে ব্যাংক খাতের নানা সুসংবাদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বদৌলতে ব্যাংকের পরিচালন মুনফায় যেমন উল্লফন দেখা যাচ্ছে তেমনই বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অন্যদিকে এবারের ৩ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয়। আর এতেই আশান্বিত হচ্ছেন এই খাতের বিনিয়োগকারীরার। বাজারসংশ্লিষ্ট সবাই আগের বারের চাইতে বেশি লভ্যাংশের প্রত্যাশা করছেন এসব ব্যাংক থেকে।
বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ২০২১ শেষে কর-পূর্ববর্তী মুনাফাতে জোয়ার এসেছে বেশির ভাগ ব্যাংকের। এমনকি কোনো কোনো ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। আবার ব্যাংক খাতের ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে গত তিন প্রান্তিকে ২৭ ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে। শুধু মাত্র এক্সিম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক এবং সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ছাড়া বাকি সব ব্যাংকের গত ৩ প্রান্তিকের আয় গতবছরের একই সময়ের চাইতে বেশি। বাজার সংশ্লিষ্ট ও বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, এই ২৭ ব্যাংক গত বছরের চাইতে অন্যদিকে এবার কোনভাবেই কম লভ্যাংশ ঘোষণা তো করবেই না, বরং বাড়াতে পারে লভ্যাংশের পরিমান। তাদের মতে, ডিভিডেন্ডের পরিমাণ বাড়লে এর ইতিবাচক প্রভাব পরবে সার্বিক বাজারচিত্রে। বিনিয়োগকারীদের এসব কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহের কারণে সূচক ও লেনদেনও বাড়বে বলে আশা কারছেন তারা।
এদিকে এত সব আশার সংবাদেও সংশয় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কোন কোন অর্থনীতিবিদ। তাদের মতে এর সবই ব্যাংকগুলোকে দেয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাড়ের কারণে সম্ভব হচ্ছে। অপরিশোধিত কিস্তির সুদকে লাভের খাতায় দেখানোর সুযোগে ২০২১ সালে ব্যাংকগুলো উচ্চ পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। যাকে অনেকেই কাগুজে মুনাফা বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিথিল নীতি ব্যাংকগুলোতে বেশি মুনাফা করতে সহযোগিতা করলেও এটি সামগ্রিকভাবে এই খাতের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। বরং এতে দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে।
আর এতেই খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারিরা। প্রতিবছর ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার প্রবৃদ্ধি দেখে অনেক বিনিয়োগকারিই ব্যাংকের শেয়ার প্রবেশ করেন। তবে অন্যদিকে এবার তাদের জন্য ব্যাপারটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। একদিকে করোনা পরবর্তী আমদানি বাণিজ্য, কমিশন ও মাশুল আদায় ও শেয়ারবাজারের মুনাফার বৃদ্ধি অন্যদিকে চোখে ধুলা দেয়া ব্যাংকঋণের সুদের অন্তর্ভুক্তি; প্রকৃত হিসেবের ক্ষেত্রে ঠিক কোনটি ব্যাংকের মুনাফার ভিত্তি শক্ত করবে তা এখনই ধারণা করা যাচ্ছে না। আবার পরিচালন মুনাফাই ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফাও নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের বিপরীতে নির্ধারিত হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ এবং সাড়ে ৩৭ শতাংশ হারে করপোরেট কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা হিসাব করে ব্যাংকগুলো। এমন পরিস্থিতে বিনিয়োগকারীরার সাধারণত পূর্ববর্তী প্রান্তিকগুলোর আয়ের অনুপাত দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ব্যাংকের প্রথম ৯ মাসের আয় বিবেচনায় নিয়ে সম্ভাব্য লভ্যাংশের ধারণা নেয়ার চেষ্টা করেন তারা।
অবশ্য এর চেয়েও বড় অস্বস্তি রয়েছে বিনিয়োগকারিদের মধ্যে। বাজারের এই সুসময়েও কোনভাবেই কেন্দ্রিয় ব্যাংক সংক্রান্ত ভীতি কাটছে না তাদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের হুটহাট জারি করা নানা নির্দেশনায় অতীতে যেমন বাজারে প্রভাব পড়েছে অন্যদিকে এবারও ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার আগে তার পুনরাবৃত্তি দেখতে হবে কি না তা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। উদাহরণ হিসেবে তারা গতবার ব্যাংকের লভ্যাংশের সীমা বেধে দেয়ার ব্যাপারটিকে উল্লেখ করেন। গতবার বাংলাদেশ ব্যাংক ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লভ্যাংশের সীমা বেধে দিয়েছিল। যার কারনে অস্বস্তিতে পড়েন ব্যাংক ও বাজারসংশ্লিষ্ট সবাই। পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ব্যাংকগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ সহ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশের সুযোগ প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে এবারও যদি বাংলাদেশ ব্যাংক একইরকম লভ্যাংশ সীমা নির্ধারণ করে দেয় তবে বাজারে আবারও অস্থির অবস্থা দেখতে হতে পারে বলে ধারণা বিনিয়োগকারিদের।
তবে আমরা পুঁজিবাজার ডটকম টিম আশাহত হচ্ছি না এখনই। আমরা আশা করবো বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কল্যানে সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখে তেমনি তারা দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারিদের ব্যাপারটিও তারা সুবিবেচক হবেন। আর সেই আশাতেই আমরা এই খাতের প্রতিটি ব্যাংকের গত ৩ প্রান্তিকের আয়, তার আগের বছর একই সময়ের আয়, ঘোষিত লভ্যাংশসহ নানা তথ্য নিয়ে তুলনামুলক বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরছি। যা দেখে একজন বিনিয়োগকারি সহজেই প্রতিটি ব্যাংক লভ্যাংশ দেয়ার ক্ষেত্রে কি করতে পারে তার একটি পরিষ্কার ধারণা নিতে পারবেন। নিচে ব্যাংকগুলোর বিস্তারিত তালিকা ও সারণিকারে তুলে ধরা হলোঃ
সরাসরি দেখতে নিচের যেকোন লিংকে ক্লিক করুন
এবি ব্যাংক | আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক | ব্যাংক এশিয়া | ব্র্যাক ব্যাংক | দ্যা সিটি ব্যাংক | ঢাকা ব্যাংক | ডাচ-বাংলা ব্যাংক | ইস্টার্ন ব্যাংক | এক্সিম ব্যাংক | ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক | আইএফআইসি ব্যাংক | ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ | যমুনা ব্যাংক | মার্কেন্টাইল ব্যাংক | মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক | ন্যাশনাল ব্যাংক | এনসিসি ব্যাংক | এনআরবিসি ব্যাংক | ওয়ান ব্যাংক | প্রিমিয়ার ব্যাংক | প্রাইম ব্যাংক | পূবালী ব্যাংক | রূপালী ব্যাংক | সাউথ বাংলা ব্যাংক | শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক | এসআইবিএল | সাউথইস্ট ব্যাংক | স্টান্ডার্ড ব্যাংক | ট্রাস্ট ব্যাংক | ইউসিবি | উত্তরা ব্যাংক
এবি ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৪৪ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘B’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২৮ এপ্রিল মোট ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৮ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১৬ পয়সা বা ৫৭.১৪ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) এবি ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৩ টাকা ৯০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৩১ টাকা ৮ পয়সার।
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৪৪ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১১ মে মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৫ টাকা ৬৪ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৮০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৭০ কোটি টাকা বা ১০.২৯ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১৯ পয়সা বা ১৪.০৭ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ২৬ টাকা ৭০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৩১ টাকা ৮ পয়সার।
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৩৬ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২১ মার্চ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৪ টাকা ৮১ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ২ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৭১০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৯২ কোটি টাকা বা ৪১.১৩ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৩৯ পয়সা বা ১৯.৮০ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ব্যাংক এশিয়ার লেনদেন শেষ হয় ২০ টাকা ৯০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২৩ টাকা ৫২ পয়সার।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৮৭ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১৩ এপ্রিল পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ১ টাকা ৭৮ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৪৬ পয়সা বা ১৭.৮৩ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ব্র্যাক ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৩৫ টাকা ২৩ পয়সার।
দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৯৭ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২৩ মার্চ পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ২২.৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ৭৫ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৬ টাকা ২৫ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১১ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৭৮ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৩৯৩ কোটি টাকা বা ৫৫.৫১ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৮ পয়সা বা ২.৭৭ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) সিটি ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ২৭ টাকা ৭০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৩০ টাকা ১১ পয়সার।
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০৯ মে পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৬০ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৬টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৪ টাকা ১৭ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭২৩ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৫২১ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২২ কোটি টাকা বা ৩৮.৭৭ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৩৭ পয়সা বা ২৮.৯১ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ঢাকা ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৪ টাকা ৭০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২১ টাকা ৫২ পয়সার।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৬ টাকা ২৫ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০৭ মার্চ পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ৫০ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ১৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ১ টাকা ৮৮ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১ হাজার ১ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১২৮ কোটি টাকা বা ১১.৬৪ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ২৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৭৮ পয়সা বা ১৪.২৬ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ৭৯ টাকায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৫৫ টাকা ৮৩ পয়সার।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ২১ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১৩ এপ্রিল পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ১৭.৫০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ৭৫ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ১৭.৫০টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৪ টাকা ৫৬ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৮৭০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১৮০ কোটি টাকা বা ২০.৬৯ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা বা ৩৫.৮১ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ইস্টার্ন ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৩২ টাকা ৭৩ পয়সার।
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১১ মে পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ২.৫০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৭৫ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ২.৫০টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৫ টাকা ৯১ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৭৪১ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৩৯ কোটি কোটি টাকা বা ৫.২৬ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ২২ পয়সা বা ১৮.৬৪ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) এক্সিম ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৩ টাকায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২১ টাকা ৫৭ পয়সার।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১২ মে পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৫০ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৩ টাকা ৮২ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৯০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৩০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৬০ কোটি টাকা বা ৯.৫২ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৪ পয়সা বা ৩.১৭ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৩ টাকায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৮ টাকা ৮৪ পয়সার।
আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০১ এপ্রিল মোট ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে শূন্য টাকা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭৭৫ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৩১৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা বা ১৪৪.৪৮ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৫৪ পয়সা বা ৭৫ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) আইএফআইসি ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৭ টাকা ৮০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৭ টাকা ৫৬ পয়সার।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৬৭ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২৮ এপ্রিল মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৩ টাকা ১৩ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৮০ কোটি টাকা বা ৩.৪০ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৩৭ পয়সা বা ১৬.০৯ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ৩২ টাকা ১০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৪০ টাকা ৫৯ পয়সার।
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৩ টাকা ৮৭ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২৫ মার্চ মোট ১৭.৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৭ টাকা ৪২ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১১৩ কোটি টাকা বা ১৭.৭৪ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ১৮ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৬৯ পয়সা বা ২১.৭০ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) যমুনা ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৩২ টাকা ৭৫ পয়সার।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৩ টাকা ৩৮ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১৪ মার্চ পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৫ টাকা ৫৯ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭২৩ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৪১১ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৩১২ কোটি টাকা বা ৭৫.৯১ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৪ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা বা ১০৬.১০ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) মার্কেন্টাইল ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৭ টাকা ৭০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২৩ টাকা ৯১ পয়সার।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ২০ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০৫ মে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ১০টি শেয়ার।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬১ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৩৪০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৬১ কোটি টাকা বা ৭৬.৭৬ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ৩৩ পয়সা।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৯ টাকা ২০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২২ টাকা ১৪ পয়সার।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৪৪ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘B’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০৫ জুলাই মোট ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ১ পয়সা।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ন্যাশনাল ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ৭ টাকা ৫০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৭ টাকা ৩৮ পয়সার।
ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৪ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২৭ এপ্রিল পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ৭.৫০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৭৫ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৭.৫০টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৪ টাকা ৯০ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭১৭ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৫৭৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১৪৪ কোটি টাকা বা ২৫.১৩ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৩৯ পয়সা বা ২৩.৬৪ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) এনসিসি ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৫ টাকা ৫০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২১ টাকা ৫৭ পয়সার।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ২২ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০২ মে পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১২.৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৭৫ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ২ টাকা ৬৮ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৩২৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১২৭ কোটি টাকা বা ৩৯.৩২ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯১ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৩১ পয়সা বা ১৬.২৩ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) এনআরবিসি ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ২৮ টাকা ৩০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৬ টাকা ১৪ পয়সার।
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৬৪ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২৯ মার্চ পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১১.৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৫.৫০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৬০ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫.৫০টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৪ টাকা ২৯ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৪৯ পয়সা বা ৪২.৬১ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ওয়ান ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৩ টাকা ৯০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৯ টাকা ৩৮ পয়সার।
প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২২ মার্চ পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১২.৫০ শতাংশ নগদ ও ৭.৫০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ২৫ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৭.৫০টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৮ টাকা ২৮ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৮৮১ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৮০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা বা ২৯.৫৬ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৮৩ পয়সা বা ৫৯.২৯ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) প্রিমিয়ার ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৫ টাকা ৩০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৩ টাকা ২৬ পয়সার।
প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ২৭ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০১ এপ্রিল মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৬ টাকা ৯৮ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা বা ১২৪.৭৫ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) প্রাইম ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ২১ টাকা ৫০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২৫ টাকা ৬২ পয়সার।
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ৫২ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১৩ এপ্রিল মোট ১২.৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ২৫ পয়সা। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৪ টাকা ৫৬ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৯৩৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৫ কোটি টাকা বা ২১.৯৩ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা বা ৫৩.৭৪ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) পূবালী ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ২৭ টাকা ৭০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৪০ টাকা ৭২ পয়সার।
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৩৭ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২২ জুন মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ১০টি শেয়ার।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১৫৯ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১৫০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ৯ কোটি টাকা বা ৬.০০ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ৮ পয়সা।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) রূপালী ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ৩৫ টাকা ৩০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৪২ টাকা ২৭ পয়সার।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার & কমার্স ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৮১ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘N’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০৮ সেপ্টেম্বর পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ৮ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৪ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৪০ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৪টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ২ টাকা ৪১ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২১০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১৫২ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা বা ৩৮.১৬ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৮১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮২ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ১ পয়সা।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৬ টাকা ৬০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সার।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১১ মার্চ পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৭০ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৩ টাকা ১৪ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭১৭ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৪৮১ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৩৬ কোটি টাকা বা ৪৯.০৬ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৯৮ পয়সা বা ৬৬.৬৭ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ২২ টাকা ৬০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৯ টাকা ২৫ পয়সার।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৮১ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০২ মে পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৫০ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৩ টাকা ১৪ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৫৪ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৪৬০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৪৪ কোটি টাকা বা ৯.৫৭ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৮১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৮ পয়সা বা ১০.৯৬ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সার।
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৩ টাকা ১৩ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১১ মে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৬ টাকা ২৯ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১৬ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৯৮৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৯ কোটি টাকা বা ২.৯৪ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৮০ পয়সা বা ৩৪.৩৩ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) সাউথইস্ট ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৫ টাকা ৮০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২৭ টাকা ৩৬ পয়সার।
স্টান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২৮ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ২৯ মে পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ২.৫০ শতাংশ নগদ ও ২.৫০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ২৫ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ২.৫০টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ২ টাকা ৫০ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৩২৬ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৩৬৮ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে কোটি টাকা বা -১১.৪১ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১৭ পয়সা বা ১৫৪.৫৫ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) স্টান্ডার্ড ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১০ টাকা ৮০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২৮ পয়সার।
ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১৫ জুন পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ১০টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ২ টাকা ৯৪ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৯৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৭১ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ২২ পয়সা বা ৫.৯৩ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ট্রাস্ট ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ৩৪ টাকা ১০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২৭ টাকা ৬৭ পয়সার।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ০৯ জুন পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন টাকা ৫০ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ৫টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ২ টাকা ৯৯ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
এ বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৪ কোটি টাকা বা ৫৭.১৪ শতাংশ।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ২৭ পয়সা বা ১৯.৫৭ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ১৬ টাকা ৬০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২৮ টাকা ৯৯ পয়সার।
উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড:
গত হিসেব বছর শেষে ১২ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘A’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা ব্যাংকটি গত বছর ১১ এপ্রিল পুরো বছরের আর্থিক হিসেব ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ব্যাংকটি তখন মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১২.৫০ শতাংশ নগদ ও ১২.৫০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারে পেয়েছিলেন ১ টাকা ২৫ পয়সা, পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারে পেয়েছিলেন ১২.৫০টি শেয়ার। অর্থ্যাৎ লভ্যাংশ ফলনের (Dividend Yield) হিসেব করলে বিনিয়োগকারিরা এই শেয়ারে প্রতি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে রেকর্ড ডেটের পরে ৪ টাকা ৭৯ পয়সা বাড়তি পেয়েছেন।
অন্যদিকে এবার ব্যাংকটির প্রথম ৩ প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ এই ৯ মাসের হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১৯ পয়সা বা ৭.০৪ শতাংশ।
ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১১ জানুয়ারি) উত্তরা ব্যাংকের লেনদেন শেষ হয় ২ টাকা ২০ পয়সায়। যেখানে সর্বশেষ প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ৩২ টাকা ৭৪ পয়সার।
কোম্পানি | নগদ লভ্যাংশ | বোনাস লভ্যাংশ | লভ্যাংশ ফলন | এই ৯ মাসে(২০২১) | গত বছর একই সময়ে | পার্থক্য (%) |
---|---|---|---|---|---|---|
এবি ব্যাংক | ৫ | – | ০.৪৪ | ০.২৮ | ৫৭.১৪ | |
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক | ১৫ | ৫.৬৪ | ১.৫৪ | ১.৩৫ | ১৪.০৭ | |
ব্যাংক এশিয়া | ১০ | ৪.৮১ | ২.৩৬ | ১.৯৭ | ১৯.৮০ | |
ব্র্যাক ব্যাংক | ১০ | ৫ | ১.৭৮ | ৩.০৪ | ২.৫৮ | ১৭.৮৩ |
দ্যা সিটি ব্যাংক | ১৭.৫০ | ৫ | ৬.২৫ | ২.৯৭ | ২.৮৯ | ২.৭৭ |
ঢাকা ব্যাংক | ৬ | ৬ | ৪.১৭ | ১.৬৫ | ১.২৮ | ২৮.৯১ |
ডাচ-বাংলা ব্যাংক | ১৫ | ১৫ | ১.৮৮ | ৬.২৫ | ৫.৪৭ | ১৪.২৬ |
ইস্টার্ন ব্যাংক | ১৭.৫০ | ১৭.৫০ | ৪.৫৬ | ৪.২১ | ৩.১০ | ৩৫.৮১ |
এক্সিম ব্যাংক | ৭.৫০ | ২.৫০ | ৫.৯১ | ১.১৮ | ১.৪০ | ১৮.৬৪ |
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক | ৫ | ৫ | ৩.৮২ | ১.৩০ | ১.২৬ | ৩.১৭ |
আইএফআইসি ব্যাংক | ৫ | ০ | ১.২৬ | ০.৭২ | ৭৫ | |
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ | ১০ | ৩.১৩ | ২.৬৭ | ২.৩০ | ১৬.০৯ | |
যমুনা ব্যাংক | ১৭.৫০ | ৭.৪২ | ৩.৮৭ | ৩.১৮ | ২১.৭০ | |
মার্কেন্টাইল ব্যাংক | ১০ | ৫ | ৫.৫৯ | ৩.৩৮ | ১.৬৪ | ১০৬.১০ |
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক | ১০ | – | ১.২০ | ১.৫৩ | ২৭.৫০ | |
ন্যাশনাল ব্যাংক | ৫ | – | ০.৪৪ | ০.৪৫ | ২.২৭ | |
ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক | ৭.৫০ | ৭.৫০ | ৪.৯০ | ২.০৪ | ১.৬৫ | ২৩.৬৪ |
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক | ৭.৫০ | ৫ | ২.৬৮ | ২.২২ | ১.৯১ | ১৬.২৩ |
ওয়ান ব্যাংক | ৬ | ৫.৫০ | ৪.২৯ | ১.৬৪ | ১.১৫ | ৪২.৬১ |
প্রিমিয়ার ব্যাংক | ১২.৫০ | ৭.৫০ | ৮.২৮ | ২.২৩ | ১.৪০ | ৫৯.২৯ |
প্রাইম ব্যাংক | ১৫ | ৬.৯৮ | ২.২৭ | ১.০১ | ১২৪.৭৫ | |
পূবালী ব্যাংক | ১২.৫০ | ৪.৫৬ | ৪.৫২ | ২.৯৪ | ৫৩.৭৪ | |
রূপালী ব্যাংক | ১০ | – | ০.৩৭ | ০.৪৫ | ২১.৬২ | |
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার & কমার্স ব্যাংক | ৪ | ৪ | ২.৪১ | ০.৮১ | ০.৮২ | ১.২৩ |
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক | ৭ | ৫ | ৩.১৪ | ২.৪৫ | ১.৪৭ | ৬৬.৬৭ |
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক | ৫ | ৫ | ৩.১৪ | ০.৮১ | ০.৭৩ | ১০.৯৬ |
সাউথইস্ট ব্যাংক | ১০ | ৬.২৯ | ৩.১৩ | ২.৩৩ | ৩৪.৩৩ | |
স্টান্ডার্ড ব্যাংক | ২.৫০ | ২.৫০ | ২.৫০ | ০.২৮ | ০.১১ | ১৫৪.৫৫ |
ট্রাস্ট ব্যাংক | ১০ | ১০ | ২.৯৪ | ৩.৯৩ | ৩.৭১ | ৫.৯৩ |
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক | ৫ | ৫ | ২.৯৯ | ১.৬৫ | ১.৩৮ | ১৯.৫৭ |
উত্তরা ব্যাংক | ১২.৫০ | ১২.৫০ | ৪.৭৯ | ২.৮৯ | ২.৭০ | ৭.০৪ |
কোম্পানি | ২০২১ | ২০২০ | টাকায় পার্থক্য | শতাংশে পার্থক্য |
---|---|---|---|---|
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড | ৭৫০ | ৬৮০ | ৭০ | ১০.২৯ |
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড | ১০০২ | ৭১০ | ২৯২ | ৪১.১৩ |
দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড | ১১০১ | ৭০৮ | ৩৯৩ | ৫৫.৫১ |
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড | ৭২৩ | ৫২১ | ২০২ | ৩৮.৭৭ |
ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড | ১২২৮ | ১১০০ | ১২৮ | ১১.৬৪ |
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড | ১০৫০ | ৮৭০ | ১৮০ | ২০.৬৯ |
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড | ৭৮০ | ৭৪১ | ৩৯ | ৫.২৬ |
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড | ৬৯০ | ৬৩০ | ৬০ | ৯.৫২ |
আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড | ৭৭৫ | ৩১৭ | ৪৫৮ | ১৪৪.৪৮ |
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড | ২৪৩০ | ২৩৫০ | ৮০ | ৩.৪০ |
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড | ৭৫০ | ৬৩৭ | ১১৩ | ১৭.৭৪ |
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড | ৭২৩ | ৪১১ | ৩১২ | ৭৫.৯১ |
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড | ৬০১ | ৩৪০ | ২৬১ | ৭৬.৭৬ |
ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড | ৭১৭ | ৫৭৩ | ১৪৪ | ২৫.১৩ |
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড | ৪৪৪ | ৩২৩ | ১২১ | ৩৭.৪৬ |
প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড | ৮৮১ | ৬৮০ | ২০১ | ২৯.৫৬ |
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড | ১১৪০ | ৯৩৫ | ২০৫ | ২১.৯৩ |
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড | ১৫০ | ১৫৯ | -৯ | ৬.০০ |
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার & কমার্স ব্যাংক লিমিটেড | ২১০ | ১৫২ | ৫৮ | ৩৮.১৬ |
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড | ৭১৭ | ৫৭৩ | ১৪৪ | ২৫.১৩ |
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড | ৫০৪ | ৪৬০ | ৪৪ | ৯.৫৭ |
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড | ১০১৬ | ৯৮৭ | ২৯ | ২.৯৪ |
স্টান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড | ৩২৬ | ৩৬৮ | -৪২ | -১১.৪১ |
ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড | ১০৫০ | – | – | – |
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড | ১১০০ | ৭০০ | ৪০০ | ৫৭.১৪ |