পুঁজিবাজার ডেস্কঃ পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের আইপিও আবেদন আজ শুরু হতে যাচ্ছে। আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড। এস আলম গ্রুপের ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বণিজ্যিক ব্যাংক যেটি মূলত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবসায জড়িত। আইপিওর প্রক্রিয়া শেষে তালিকাভুক্ত হলে এটি হবে পুঁজিবাজারের ৩৩তম ব্যাংক।
ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৪২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি এসএমই ও প্রজেক্ট অর্থায়ন, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
যেভাবে শেয়ার বন্টন
গত ১৫ ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রকাশিত তথ্যে প্রকাশ, আগ্রহী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে ১০ হাজার টাকার আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন করতে সেকেন্ডারি মার্কেটে কম পক্ষে ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। এই বিনিয়োগ বাজার মূল্য গণনা হবে।
শর্ত পূরণ করা বিনিয়োগকারীরা ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন। বিনিয়োগকারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমান অনুপাতে আইপিও আবেদনকারীদের শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে।
আর্থিক অবস্থা
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া নিট সম্পদমূল্য হয়েছে ১৬ টাকা ৩৮ পয়সা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেনি) এবং শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ হাজার ৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটি ২০১৬ সালে ৮৫ কোটি টাকা, ২০১৭ সালে ৮৯ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে ৯৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ২০১৯ সালে ৫৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং ২০২০ সালে ৯৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।
অনুমোদন
উল্লেখ্য, এ বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ৭৯০তম কমিশন সভায় ব্যাংকটির আইপিও অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসি শর্ত আরোপ করেছে। শর্ত অনুসারে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে কোম্পানিটি কোন প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না। একই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকটিকে ২০২১ সালের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকার শর্ত দিয়েছে কমিশন।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং আন্ডাররাইটার হিসেবে আছে যথাক্রমে ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এআইবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।