পুঁজিবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয় চাপ থাকলেও কিছুক্ষণ পর মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় সূচক নামতে থাকে। বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর আলোচিত সময়ে টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্দার রেশ কাটিয়ে পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এরই জের ধরে গত কয়েক দিন যাবৎ বাজারচিত্র কিছুটা স্বাভাবিক। দীর্ঘ মন্দার পর কয়েকদিন ধরে মার্কেটের অবস্থা মোটামুটি ভালই যাচ্ছে। তবে একটা ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মার্কেট পরপর কয়েক কার্যদিবস আপ ট্রেন্ডে থাকলে পরে আবার ডাউন ট্রেন্ডে চলে যায়। তবে এটা ক্ষুদ্র বিনিয়োগরীর জন্য বেশ সুখবর। কারণ এতে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। তবে আমাদের বাজারে এক শ্রেনীর বিনিয়োগকারী আছেন যারা একটু উত্থান দেখলেই হু হু করে বাই করতে থাকে। আবার নিম্নগতি দেখলেই হা-হুতাশ করে সেল করতে থাকে। তখন তারাই আবার বলতে থেকে এই বুঝি বাজারে বড় পতন আসলো। তারা আসলে বুঝতে চায়না সরকারের শেয়ার মার্কেটের সকলের নজর রয়েছে। এছাড়া বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংশ্লিষ্টমহল এবং অর্থমন্ত্রীও শেয়ারবাজার নিয়ে অনেক সচেতন। কারণ মার্কেটের ক্ষতি হলে আলটিমেটলি তার দায় সরকারের উপরেই বর্তাবে। কাজেই সরকার ইচ্ছে করেই কখনোই এই দায় নিজের উপর নিতে চাইবে না। তাই বাজার নেতিবাচক হবার কোন কারণ নেই এমন আশাবাদী হতেই পারেন সাধারণ বিনিয়োগকারী। তবে আজ বিনিয়োগকারীরা কিছুটা প্রফিট টেকিং করছে। কেননা মন্দায় পরিস্থিতিতে যে সকল বিনিয়োগকারী শেয়ার ক্রয় করেছেন তাদের অনেকই লোভ সামলাতে না পেরে কিছুটা শেয়ার ছাড়ছেন বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৩৪৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৩০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮৬৫ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩১৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, দর কমেছে ১৬৪টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৩৯টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৩৭০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮৬৫ পয়েন্টে। ওই সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৩৯১ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৬৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টির, দর কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ২৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা।