পুঁজিবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে চলছে লেনদেন। এদিন লেনেদেনের শুরু থেকেই সৃষ্ট বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচক এবং তার মাত্রাও তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশী। বুধবার লেনদেনের প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছুতেই থামছে না দরপতন, বরং ক্রমেই পুঁজিবাজার পরিস্থিতি আরও নাজুক হচ্ছে। মুদ্রানীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতার ভয়, কৌশলগত বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘদিন আগে বাজারে পতন শুরু হয়। বর্তমানে এসব সমস্যার সমাধান হলেও থামছে না পতন। যদিও এর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে কেউই। কেননা সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চীনকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চীনা কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে তারা ডিএসইর অংশীদার হয়েছে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী চেয়েছিলেন চীনই কৌশলগত বিনিয়োগকারী হোক। কিন্তু তারা কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ার পরও বাজারের দৃশ্যপট পরিবর্তিত হচ্ছে না। তাদের মতে সাম্প্রতিক পতনের জন্য দায়ী বিনিয়োগকারীরা। তাদের মনস্তাত্ত্বিক কারণে চলমান পতন অব্যাহত রয়েছে। কাজেই এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের উচিত শেয়ার বিক্রি না করে ধরে রাখা। তাদের আবেগি না হয়ে বাস্তববাদী হওয়া উচিত বলেও মনে করছেন তারা।
এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুপুর ১টার দিকে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৫২০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৯৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০৫৮ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩০২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, দর কমেছে ১৫২টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৬৬টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ৩১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএসইআই দুপুর ১২টার দিকে ৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৬৭ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, দর কমেছে ৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।